সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা এমআইএস শাখা থেকে প্রস্তুত খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে। এর একটি অনুলিপি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে।
গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হতাহতের তথ্য তালিকায় রয়েছে রয়েছে বলে জানা গেছে। খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি নিহত ও আহত হয়েছেন। এ বিভাগে ৪৭৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১১ হাজার। সারা দেশে আহত হয়ে যারা হাসপাতালে গেছেন, তাদের ৩ হাজার ৪৮ জনের অবস্থা ছিল গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। কমপক্ষে ৫৩৫ জন স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৫০ জনকে হাসপাতালে আনা হয় মৃত অবস্থায়। বাকি ১৮১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ১৫ আগস্ট আন্দোলনে হতাহতের তালিকা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এ কমিটির প্রধান। এ কমিটির তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখা তালিকাটি তৈরি করছে।
মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, তালিকার কাজ এখনও চলছে। আন্দোলনের সময় মামলার ভয়সহ নানা কারণে নিহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়নি। এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।