বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ফের আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। করোনা প্রতিরোধে বিধিনিষেধ মেনে চলা বাধ্যতামূলক করায় বিক্ষোভ করছেন তারা। স্থানীয় সময় রোববার (৫ ডিসেম্বর) করোনার বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাও। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে পাথর নিক্ষেপ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে কাদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করে পুলিশও।
জানা গেছে, আট হাজারের মতো বিক্ষোভকারী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এসময় তারা ‘‘ফ্রিডম” বলে চিৎকার করতে থাকেন।
সম্প্রতি ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বেলজিয়ামে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই করোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। এতেই ক্ষুব্ধ হন সাধারণ মানুষ।
গত নভেম্বরের শেষ দিকেও ব্রাসেলসে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সহিংস বিক্ষোভে জড়ায়। ওই ঘটনার পর বহু মানুষকে আটকও করে দেশটির পুলিশ।
জানা গেছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের গত বুধবার বলেন, তার দৃষ্টিতে ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে।
গত শুক্রবার বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু নাইটক্লাবগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, শনিবার থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য রাত ১১টার মধ্যে বার ও রেস্তোঁরা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
বেলজিয়ামে এক কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস। দেশটিতে গত ৭ দিন ধরে করোনায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১৭ হাজার আটশর বেশি। করোনার টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন ৭৫ শতাংশ নাগরিক।