আগামী ২৩শে মে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা হয়েছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চলছে ইউনিয়ন ও পৌরসভার নেতা নির্বাচন। আর তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্বে পছন্দের মানুষকে পদ পাইয়ে দিতে ৩টি গ্রুপের কর্ণধাররা চালাচ্ছেন নানা কুট কৌশল। বেলকুচির সদর ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সম্মেলন থেকে বাদ পড়া নেতাকর্মীরা দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. সোলায়মান হোসেন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতার ফরম তুলতে গেলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তাকে ফিরিয়ে দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এর আগে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। গতকাল দুপুরে বেলকুচি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মীর্জা সোলায়মান বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য তার মনোনীত প্রার্থীরা ভোটে নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনে নানা কুট কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে এমপি সাহেবের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার, ম-ল গ্রুপে চাকরিরত ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম। শুধুমাত্র উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি ছবি তোলার দায়ে তাকে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছে না
দলের জন্য নিবেদিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কৌশলে বাদ দিয়ে জামাত-বিএনপির লোক দিয়ে মনগড়া কমিটি করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আমি দুই দুইবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী কাউন্সিলেও আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেতে চাই। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
তবে এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন ম-ল কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার বলেন, আমি দলীয় সিদ্ধান্তেই সকল কাজ করে যাচ্ছি। এখানে এমপি সাহেব যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করবো। আর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার জানান, একই রকমের অভিযুক্তদের একই সমান বিচার বিবেচনা করতে হবে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। কেন বেলকুচিতে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবো। আগামী ২৩শে মে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু নানা ভুলেভরা তৃণমূলের সম্মেলন করে উপজেলা সম্মেলন করলে বিভক্তি আরও বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।