সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও আজিজ আহমেদ দিয়েই আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
বুধবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বেনজীর-আজিজদের মেগা দুর্নীতি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে গণভোগান্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ’-এ বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, বেনজীর-আজিজ তাদের দলের কেউ না। কিন্তু দেশের সবাই জানে, সারা পৃথিবীই জানে, এদের গডফাদার কারা। এদের দিয়েই আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতা দখল করেছে। ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত মাফিয়া আনারই না কি আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা। এদের দিয়েই এখন এই দলটা চলে। ভারতের নির্বাচনে জনগণের জয় হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। সেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। আমাদের দেশে আওয়ামী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করেছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আজিজ, বেনজীররা হাজার হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতেই সরকার তাদের ব্যবহার করেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিচার করার নাটক করছে। আবার সরকারের যোগসাজশেই বেনজীর দেশ থেকে পালিয়েছে। সরকারের মধ্যে আরও শত শত বেনজীর, আজিজ, আনার আছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ রকম হাজার হাজার দুর্বৃত্তের জন্ম হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে সরকারের মধ্যে থাকা দুর্বৃত্তরা দেশকে ধ্বংস করবে। সরকার ক্ষমতা দখল করতে এই দুর্বৃত্তদের লালনপালন করেছে। ভবিষ্যতেও তাদের ওপর ভর করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাইবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আজিজকে সেনাপ্রধান বানিয়েছে, বেনজীরকে র্যাবের মহাপরিচালক বানিয়েছে, আইজিপি বানিয়েছে। আর এখন বলছে ওরা আমাদের লোক না। সরকারকে বলি, জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন বলে সবাইকে বোকা ভাববেন না। এসব ধান্দা বাদ দিয়ে পদত্যাগ করুন। অর্থনীতি ধ্বংস করেছেন। সামনে আরও খারাপ সময় আসছে। ২০১৪, ১৮ তে টিকে গেছেন। কিন্তু এই দফায় টিকতে পারবেন না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কেয়ামতের দিন যেমন কেউ কাউকে চিনবে না, ইয়া নফসি ইয়া নফসি করবে। তেমনি এই সরকারও এখন নিজেদের লোকদের দায় অস্বীকার করছে। সরকারের মধ্যে ইয়া নফসি ইয়া নফসি শুরু হয়েছে। নিজেদের লোকেরাও এই অবৈধ সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। ক্ষমতার খুঁটি নড়ে গেছে।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অনেকে।