২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এরই মধ্যে ১৭টি ম্যাচ হয়ে গেছে। অথচ বেঙ্গালুরুবাসী এখনো বিশ্বকাপের মজা সেভাবে পায়ইনি। কি করে পাবে। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে এখনো যে কোনো ম্যাচই হয়নি। বেঙ্গালুরুবাসীর সেই আক্ষেপ ঘুচে যাচ্ছে আজ। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে অভিষেক হচ্ছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের।
বেঙ্গালুরুর এই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজকের আগেই অবশ্য বিশ্বকাপের ম্যাচ হয়েছে ৭টি। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ হয়েছিল এই মাঠে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের কোয়ার্টার ফাইনালের রোমাঞ্চও পেয়েছে এই মাঠ। বাকি ৫টি ম্যাচ হয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপে। তার মধ্যে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচটিও আছে। যে ম্যাচে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের করা ৮ উইকেটে ৩২৭ রান তাড়া আয়ারল্যান্ড করেছিল ৭ উইকেটে ৩২৯। তবে এবার আইরিশদের সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তান। গত ১০ অক্টোবর হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কার (৩৪৪/৯) বিপক্ষে পাকিস্তান (৩৪৫/৪) গড়েছে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নতুন রেকর্ড।
সুতরাং আজ বেঙ্গালুরুতে দুই দলই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে টানা হারলেও শেষ ম্যাচে জিতেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মজার ব্যাপার হলো—পাকিস্তানেরও দুই জয়ের একটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যাই হোক, প্যাট কামিন্সের দল আজ সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই নামছে মাঠে। বিপরীতে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেও আজ মাঠে নামার পথে পাকিস্তানের সঙ্গী হচ্ছে হতাশা। নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে চিরশত্রু ভারতের কাছে যে হেরেছে বাবর আজমের দল। হায়দরাবাদের সেই হারটাও ছিল অসহায়ভাবে।