রাজধানীর পল্টন ময়দানে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ২১তম বার্ষিকী। ২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবর মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র। এ বোমা হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা কমরেড হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা কমরেড আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা কমরেড আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের কমরেড মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই এবং খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা কমরেড বিপ্রদাস রায় আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও বোমা হামলায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এক বিবৃতিতে ২০ জানুয়ারির শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি করেন। নেতাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। দায়সারাভাবে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই বোমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি এর নেপথ্যের হোতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হত্যা-হামলা-মামলা নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের আন্দোলন দমানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের স্বপ্নের শোষণমুক্ত সমাজ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই তাঁদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে। শহীদদের রক্তপতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে। পল্টনের শহীদদের স্মরণে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সারা দেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সম্মুখে শহীদ স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।