৬ নারী বৈমানিক শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস’ এর পক্ষ থেকে তারা শিক্ষাবৃত্তি পেলেন। তারা বর্তমানে বিভিন্ন একাডেমিতে বৈমানিক শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যায়নরত আছেন। তদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন— গ্যালাক্সি ফ্লাইট একাডেমির সাফরিন আফরোজ মামিয়া, শেখ আনিকা তাবাসসুম, ফারাজাহা ইয়াসমিন, ফারিহা ফারহা কাশফিয়া। বাংলাদেশ একাডেমি অ্যান্ড জেনারেল এভিয়েশন লিমিটেডের সামিহা মালিহা এবং আরিরাং এভিয়েশন লিমিটেডের রাশিদা আফরিন মহিমা।
বুধবার (১০ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডমিস্টিক টার্মিনালে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তাদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ এভিয়েশন সেক্টরে মেয়েদের আসার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেবে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি বলেন, বৃত্তিপ্রাপ্তদের এর মাধ্যমে তাদের লক্ষ্য পৌঁছাতে সাহস যোগাবে।
তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। এমন উপলব্ধি থেকে স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের উন্নয়নে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশে এভিয়েশন সেক্টরে উড্ডয়ন এবং নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আইকা থেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আয়োজনে এমন শিক্ষাবৃত্তি চালু নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
সাফরিন আফরোজ মামিয়া স্কলারশিপ পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এভিয়েশন সেক্টরে মেয়েরা খুবই কম আসে। অথচ মেয়েদের জন্য এই পেশাটা খুবই স্বস্তিদায়ক।
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচকের) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।