চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সর্বজন সমাদৃত দেশের গান ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’র গীতিকবি ফজল-এ খোদা। আজ (৪ জুলাই) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যও আত্মীয়-স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে যথারীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাকে সমাহিত করা হয়।
এথ্য নিশ্চিত করেছেন ফজল-এ খোদার মেজো ছেলে সজীব ওনাসিস। তিনি জানান, সকালে ফজল-এ-খোদা’র জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ রায়ের বাজার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি বহু কালজয়ী গানের এ গীতিকবি সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিলো তার। সেখানেই আজ ভোর ৪টায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
ফজল-এ-খোদা কবি ও ছড়াকার হিসেবে নন্দিত। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি। তবে কালজয়ী গানের গীতিকবি হিসেবেই মানুষ তাকে চেনে। দেশাত্মবোধক, আধুনিক ও লোকগানের পাশাপাশি ইসলামিক গান লিখেও তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
তার বহু জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ফজল-এ-খোদা বাংলাদেশ বেতারে গীতিকবি হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকবি হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ঢাকা বেতারের সাবেক এই আঞ্চলিক পরিচালক শিশু কিশোরদের সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
উল্লেখ্য, বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ শীর্ষক গানটি রয়েছে ১২তম স্থানে। এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রয়াত শিল্পী আব্দুল জব্বার৷ এর সুরকারও ছিলেন তিনি৷