হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময় হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরীর ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে বাড়ির সামনে সরকারি পাকা সড়কের ওপর গেট স্থাপন করা হয়। মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেনের ভাগ্নে তুহিন আহমেদের নেতৃত্বে কয়েস ও শরীফসহ ৮-১০ জন বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দেওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবি করে তা ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা গেটের সরঞ্জাম ভেঙে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাহিম চৌধুরীসহ পঞ্চায়েতের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে জাকির হোসেনের পক্ষের তুহিন, কয়েস, শরীফদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। ঘটনার পর থেকে বুরহানপুর এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে সিলেট ও নবীগঞ্জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোলাগুলি প্রসঙ্গে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন সংঘর্ষ চলাকালে গুলির শব্দ শোনা গেছে। এলাকাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।