শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহামুদপুর ইউনিয়নের খানপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচের ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাহামুদপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন অর রশিদ, একই এলাকার বাসিন্দা পান্নু খান, ইয়াছিন, আনোয়ার হোসেন, মজিবর মোল্যা, দুলাল সরদার, মো. মামুন, লিটন মাদবর, আনছের সরদার, রাসেল সরদার, জাহাঙ্গীর সিপাই, শিল্পী বেগম, ফজলু মুন্সী, ইদ্রিস রাঢ়ী, মানিক, বাবুল মাদবর, এবাদুল খা, লিয়াকত খান, রাজা খান, ইয়ামিন, হানিফ, হনুফা বেগম, ইব্রাহিম ও ইউনুস।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে খানপাড়া গ্রামের গফুর খার মেয়ের বিয়েতে মেয়েদের নাচের ভিডিও ও ছবি তুলছিলেন স্থানীয় মেম্বার আছাল উদ্দিন সরদারের পক্ষের লোকজন। ভিডিও এবং ছবি তুলতে নিষেধ করেন গফুর খার পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে চারজন আহত হন।
এ ঘটনায় আছাল উদ্দিন সরদারকে আসামি করে মামলা হয়। পরে আছাল উদ্দিন সরদার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। মামলা তুলে না নেওয়ায় শনিবার দুপুরে আছাল উদ্দিন সরদারের সমর্থকদের সঙ্গে পান্নু খানের লোকজনের সংঘর্ষ বাধে। এতে ২৫ জন আহত হন। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আছাল উদ্দিন ও কামাল বেপারীর সঙ্গে পান্নু খান ও লিয়াকত আলী খার প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। বৃহস্পতিবার গফুর খার মেয়ের বিয়েতে ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষের।
সংঘর্ষে আহত লিয়াকত খান বলেন, গফুর খার মেয়ের বিয়েতে ছবি তুলতে না দেওয়ায় আমাদের কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন মেম্বার আছাল উদ্দিনের সমর্থকরা। এ ঘটনায় পালং থানায় মামলা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে বারবার চাপ দিয়ে আসছিলেন আছাল উদ্দিন ও কামাল বেপারীর লোকজন। মামলা তুলে না নেওয়ায় আমাদের ওপর হামলা করেন তারা। পরে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।
মেম্বার আছাল উদ্দিন সরদারের সমর্থক দুলাল সরদার বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লিয়াকত খানের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের সদর হাসপাতাল ও ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ছবি তোলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মূলত পূর্বশত্রুতার কারণে এটি হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজকের ঘটনায় মামলা হয়নি। আগের ঘটনায় করা মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।