দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছে বিশ্ব। লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই অদৃশ্য ভাইরাস। এর কারণে নানাভাবে ভুক্তোভোগী কোটি কোটি মানুষ। গত একদিনে বিশ্বে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিতে। দুই দেশে এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষের।
মহামারির দৌরাত্ম্য ধীরে ধীরে কমলেও এতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ কোটি ৬৫ লাখের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার জনের। গত একদিনে বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫২ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৬ জনের। একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪১ জনের। অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ৪৩ কোটি ২০ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ।
২০১৯ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে হতাহতের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত একদিনে ৩২ হাজার ৬৫৯ এবং এখন পর্যন্ত মোট ৮ কোটি ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ৪০৯ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬ জনের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৭৫২ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৫ লাখ ২১ হাজার ৬০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ হাজার ৩৮৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৩৫ জনের। এছাড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এমন দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ফ্রান্স, পঞ্চম জার্মানি এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
মহামারি শুরুর প্রায় এক বছর পর টিকা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তারপর থেকে করোনার ঢেউ অনেকটা কমে আসে। এমন অবস্থার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে ফের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বিশ্ব।