আহমেদাবাদ ও কলকাতার পর বিশ্বকাপের সূচি বদলের জন্য ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বরাবর চিঠি দিয়েছিল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)। টানা দুদিনের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা থেকেই মূলত পত্র দিয়েছিল সংস্থাটি। এর আগেও বিশেষ বিবেচনায় সূচি রদবদল করেছিল বিসিসিআই। তাই এবারও তেমন কিছু হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত খবর এসেছে, নতুন করে আর সূচি বদলের ঝামেলায় যেতে নারাজ বিসিসিআই। হায়দরাবাদের প্রস্তাবটাও তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে আরও একবার সূচি বদল সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসক কমিটির সদস্য দুর্গা প্রসাদ, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। তারা আভাস দিয়েছে, এই মুহূর্তে সূচি বদল করা সম্ভব নয়। তাই আমরাও বিসিসিআইকে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আরেক সূত্র ক্রিকবাজকে জানায়, ‘আমরা বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি এর মধ্যেই একটা বিবৃতি দিয়েছেন। আমাদের জানানো হয়েছে, শেষ মুহূর্তে এমন পরিবর্তন আনা কঠিন। যে সূচি আছে, আমরা সে অনুযায়ী খেলা আয়োজনের চেষ্টা করব। শহরের পুলিশ কমিশনারও আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’
হায়দরাবাদের আপত্তি ছিল আগামী ৯ ও ১০ অক্টোবরের দুই ম্যাচকে কেন্দ্র করে। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের পরপর দুটি ম্যাচ হবে। ৯ অক্টোবর খেলবে নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস, পরদিনই পাকিস্তান খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই দিবারাত্রির। দুই দিনে দুটি ম্যাচ আয়োজনে পুলিশ কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারবে, এ নিয়ে উদ্বেগ ছিল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে।।
এর আগে ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সূচি বদলানোর প্রস্তাব করা হয়। নবরাত্রি উৎসবের কথা মাথায় নিয়ে সেই সূচি বদলও করা হয়। কালীপূজার কারণে একই অনুরোধ জানায় কলকাতা কর্তৃপক্ষ। উভয় অঞ্চলের পুলিশের ভাষ্য ছিল, ধর্মীয় উৎসব থাকায় বিশ্বকাপের ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
দুই ম্যাচ বদলের সেই আবেদন গ্রহণ করে বিসিসিআই। আর তাতে সমন্বয় করতে গিয়ে সর্বমোট নয় ম্যাচের সূচি পরিবর্তন করে। হায়দরাবাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সেই ঝুঁকি নিতে চায়নি ভারতের ক্রিকেট কর্তারা।