ত্রয়োদশ বিশ্বকাপ আসর শেষ হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। তারও আগেই যাত্রা শেষ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবারের আসরে টাইগাররা কেমন পারফর্ম করেছে সেটি নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিগত তিন আসরে তিনটি করে জয় পেলেও, এবার সাকিব আল হাসানদের কেবল দুটি জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলে বাংলাদেশ নতুন করে শুরু করতে চায় নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে। এরই মাঝে বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারার কিছু তিক্ত সত্য তুলে ধরেছেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান।
আজ (শনিবার) মিরপুরে সাংবাদিকদের সামনে আকরাম বলেন, ‘কোনোদিন না (বিশ্বকাপ ভালো হওয়া)। কারণ মনে হয় না বাংলাদেশ এত বাজে খেলেছে এর আগে। ১৯৯৯ আসরে ছয়টা ম্যাচের দুটিতে জিতেছি। প্রত্যাশা বেশি ছিল। আমরা পরিকল্পনাও করেছিলাম অনেক ভালোভাবে। চার বছর আগে থেকেই শুরু করেছিলাম যেহেতু ভারতে খেলা হবে। আবহাওয়া আমাদের মতো হবে।’
অতিরিক্ত এক্সপেরিমেন্টকেও এজন্য দায় দিলেন এই বিসিবি কর্মকর্তা, ‘ওটা নিয়ে অনেক আশা ছিল আমাদের। একটা দেশে যদি খেলার আগে এত কথাবার্তা হয় অন্য বিষয় নিয়ে, তো ওই দল কোনোদিন ভালো করতে পারবে না। এটা আমি এশিয়া কাপেও বলেছিলাম, বিশ্বকাপের আগে এটা একটা ভালো টুর্নামেন্ট যারা অংশ নেবে তাদের জন্য। কিন্তু ওখানে আমরা এক্সপেরিমেন্ট করে পুরো দলকে দাঁড় করাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত একটা দলই আমরা দাঁড় করাতে পারিনি। এত এক্সপেরিমেন্ট করলে আমার মনে হয় না কোনো দেশ ভালো করবে।’
আকরাম আরও বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমাদের অনেকেই কথায় জিততে চায়। এজন্য দেশের পারফরমান্স ওরকম ভালো হয় না। খেলোয়াড়দের উচিত মাঠে গিয়ে পারফর্ম করা। সে জিনিসটা আমরা করতে পারিনি। মাঠের বাইরে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। এটা সবার বোঝা উচিত ছিল। কারণ এই দেশ কারও ব্যক্তিগত না, সবার। যদি বাংলাদেশ ভালো করে, সবার ভালো লাগবে। কেউ যদি নিজেরা নিজেদের মতো করতে চায় তাহলে তো এটা হবে না। এটা হওয়া উচিতও না। সবসময় আমি দেখেছি যখন একটা মেজর টুর্নামেন্ট হয় তখন খেলা ছাড়া খেলার বাইরের জিনিসগুলো নিয়ে অনেক বেশি কথাবার্তা বলি। এজন্য সবাই চাপে পড়ে যায়।’
আকরামের মতে সবাইকে সম্মান দেওয়া উচিৎ, ‘এই দায়টা আমি মনে করি সবারই। সবাইকে সম্মান করতে হবে। এমনকি যারা যেকোনোভাবে খেলায় জড়িত আছে তাদের সম্মানটাও দেওয়া উচিৎ। যারা অনেকদিন ধরে খেলছে, তাদের তাদের সম্মানটা প্রাপ্য। এছাড়া যারা নতুন খেলোয়াড় আসছে, ওদের বোঝাতে হবে ওরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার একটাই কথা— সম্মান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ছোট-বড় সেটা বিষয় না। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে বোর্ডে এসে কথা বলে সমাধান করা উচিৎ।’