দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। সভায় প্রার্থীরা ছাড়াও দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন। আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভা সফল করতে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ছাড়াও দলটির কয়েকজন শীর্ষনেতা উপস্থিত ছিলেন।
যদিও শনিবার দলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামীকালের সভায় নেতাকর্মীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।
জাপার প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় দল থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়নি। তাদের নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের বাধা ও নানাভাবে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তা জানানোর জন্য ফোন দেওয়া হলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কল রিসিভ করেননি। বিশেষ সভায় নির্বাচনের সময় করা বিরূপ আচরণের ব্যাখা চাওয়া হবে।
আগামীকালের সভা প্রসঙ্গে জাপা কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ঢাকা মেইলকে বলেন, এ সভা কারো বিরুদ্ধে নয়। সারাদেশের দলের প্রার্থীরা এই সভা আয়োজন করেছেন। কোন কারণে প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন তা তারা তুলে ধরবেন।
এদিকে, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভরাডুবি হয়েছে, তা অস্বীকার করছি না। সে দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তায়। তবে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এভাবে প্রকাশ্যে করা ঠিক হয়নি।
গত মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডির একটি অফিসে জাতীয় পার্টির কয়েকজন শীর্ষনেতাসহ পরাজিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী একটি বৈঠকে মিলিত হন। সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ দাবি করেন। তার জের ধরে শনিবার দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ