বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় দেশে আরেকটি বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার এ কেন্দ্রটি স্থাপন করবে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাব ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট নথি সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি খাতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালার আওতায় নির্মাণ, মালিকানা এবং পরিচালনের (বিওও) ভিত্তিতে দেশের চারটি স্থানে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উৎপাদন শুরু হলে এগুলো থেকে নির্ধারিত দামে বিদ্যুত্ কিনে নেবে বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিটি ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ কেন্দ্রগুলো নির্মাণের জন্য পিডিবি ২০১৮ সালে প্রস্তাব দেয়। ঐ বছরই এগুলোর স্পন্সর বা নির্মাতা খুঁজতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এগুলোর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার প্রকল্পটির জন্য জমা পড়া দরপত্রগুলো অযোগ্য বিবেচিত হয়।
পরে ২০১৯ সালের জুনে আবার দরপত্র আহ্বান করা হলে দুইটি দরপত্র পায় পিডিবি। এগুলোর মধ্যে একটি হলো সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সাইকেলেক্ট এনার্জি এবং অপরটি হলো বাংলাদেশি দুইটি কোম্পানি—জুলস পাওয়ার ও ডব্লিউএসি লজিস্টিকস এবং চীনা কোম্পানি জিয়াংসু ঝোংটিয়ান টেকনোলজির কনসোর্টিয়াম। মূল্যায়ন কমিটি দুই দরদাতাকেই অযোগ্য ঘোষণা করে। কিন্তু ২০২০ সালে সাইকেলেক্ট কিছু অভিযোগ এনে তাদের দরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে। পিডিবি তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের নিকটবর্তী প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে ১৭৫ দশমিক ৮৮ একর জমিতে সোলার বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে বলে সুপারিশ প্রতিবেদন বিদ্যুত্ বিভাগে জমা দেয়।
বিদ্যুত্ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ার পর এখন সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সাইকেলেক্টের প্রতিনিধির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। শিগগিরই সব প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে চূড়ান্ত দরপ্রস্তাব তৈরি করা হবে।