সিরিজের শেষ ম্যাচটা তাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল অঘোষিত ফাইনাল। আগের চার ম্যাচে দুটো করে জিতেছিল ভারত আর ইংল্যান্ড। ম্যাচে অধিনায়ক বিরাট কোহলি রেকর্ড গড়লেন, রেকর্ড হলো ভারতেরও। সিরিজ জয়টাও সহজ হয়ে যায় এর ফলে।
সিরিজের শুরুতে সুযোগ না পাওয়া রোহিত শর্মাই শনিবার রাতে দলটিকে এনে দেন শুভসূচনা। চারটি চার আর পাঁচ ছক্কায় ৩৪ বলে তিনি যখন ৬৪ রান করে ফিরছেন, কোহলি তখন মনোযোগী ছিলেন ইনিংস গড়ায়। রোহিতের বিদায়ের পর ধারণ করলেন রুদ্রমূর্তি। ৫২ বলে ৮০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে সূর্যকুমার যাদব আর হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যামিওতে ভারত ইনিংস শেষ করে ২২৪ রানে, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দলটির সর্বোচ্চ। আর কোহলি গড়েন টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২৩১ রান নিয়ে পূর্ণ সদস্যদের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন সর্বোচ্চ রানের কীর্তিটা তার দখলে।
ভুলে যাওয়ার মতো রেকর্ড হয়েছে ক্রিস জর্ডানের। শেষ ম্যাচে ৫৭ রানসহ পাঁচ ম্যাচে বল হাতে তিনি দিয়েছেন ১৯৮ রান, যা দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ড। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই জেসন রয়কে হারায় ইংল্যান্ড। তবে এরপর দাওয়িদ মালান আর জস বাটলারের কল্যাণে জমজমাট শেষের দিকেই এগোচ্ছিল ‘ফাইনাল’ ম্যাচটা। দুজনের জুটি তিন অঙ্ক ছোঁয় নয় ওভারে। তাতে ভর করে ১২ ওভার শেষে ইংলিশরা তুলে ফেলেছিল ১২৭ রান।
তবে এরপরই যেন ছন্দপতন। বাটলারের ৫২ রানের ইনিংস শেষ হয় ভুবনেশ্বর কুমারের শিকার হয়ে। ১৩০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ইংলিশরা। ছন্দে থাকা মালান অবশ্য আশা দেখাচ্ছিলেন ইংল্যান্ডকে। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাজার রানের কীর্তিটাও গড়ে বসেন এক ফাঁকে। তবে থামেন এরপরই। মালানের পর শার্দুল ঠাকুরের সেই ওভারেই বিদায় নেন বেয়ারস্টোও। পরের ওভারে অধিনায়ক ইয়ন মরগানও পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ফিরলে ১৪২ রানেই ৫ উইকেট হারায় দলটি।
এরপর বেন স্টোকস অবশ্য একটা ছোট্ট চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেটা ব্যবধানই কমাতে পেরেছে কেবল। ফলে ৩৬ রানের হার নিয়ে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সিরিজ শেষ করে ইংলিশরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ২০ ওভারে ২২৪/২ (রোহিত ৬৪, কোহলি ৮০*, সূর্যকুমার ৩২, পান্ডিয়া ৩৯*; রশিদ ৩১-১, স্টোকস ২৬-১)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৮/৮ (বাটলার ৫২, মালান ৬৮; ভুবনেশ্বর ১৫-১, পান্ডিয়া ৩৪-১, শার্দুল ৪৫-৩)
ফলাফল: ভারত ৩৬ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ভারত ৩-২ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচসেরা: ভুবনেশ্বর কুমার
সিরিজসেরা: বিরাট কোহলি