অনুমতি ছাড়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা, আটক ও আদালত কর্তৃক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এ ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, এবিসি নিউজ, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘রোজিনা ইসলাম: কোভিড রিপোর্টিংয়ের কারণে সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, ‘অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ।’ একই শিরোনাম করেছে এবিসি নিউজ।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে নেওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে, আমার সাথে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করায় আমার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে।’
গতকাল প্রথম আলো পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাকে সেখানে একটি কক্ষে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার পরিবার তাকে হাসপাতালে নিতে চাইলেও তা দেয়নি পুলিশ। রাতে শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেট আইনের (১৯২৩) ৩ ধারায় তার নামে মামলা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দাবি করেছেন, সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে অপেক্ষা করছিলাম, এসময় পিএস সাইফুল ইসলাম নথিপত্র গায়েবের অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল ডেকে তার শরীরে হাত দেন। তাকে সাজানো অভিযোগে পিএস আটকে রাখে বলে দাবি করে তিনি বলেন, তিনি কোনো নথিপত্র নেননি।