সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, বাংলাদেশে মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ধারাবাহিকভাবে বিনষ্ট করা হয়েছে। সেই আশঙ্কা এখন আরও তীব্র হচ্ছে। গণমানুষের সার্বভৌমত্ব কায়েমের জন্যই একাত্তরে মানুষ রক্ত দিয়েছেন। চব্বিশেও মানুষ রক্ত দিতে দ্বিধা করেননি। এই সাধারণ মানুষের জীবনে বিপ্লবের সুফল বয়ে আনতে প্রথাগত পথে হাঁটলে হবে না। বরং আমাদের চিন্তা ও তৎপরতায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। বিজয় দিবস তখনই তার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবে যখন এ দেশের মানুষ বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ লাভ করবেন।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
তিনি বলেন, গত দেড় দশক ধরে একাত্তরের একমুখী বয়ান তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধকে সংকীর্ণ পরিসরে আবদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থান সে অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি দিলেও এখনও আমাদের সচেতন থাকতে হবে, যেন নতুন করে কোনও গণ্ডিবদ্ধতায় আমরা ঢুকে না পড়ি।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বৃহত্তর জনমানুষের বিজয়ের জন্য আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার বিভাজনে আমরা অনেক ঘুরপাক খেয়েছি। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সংগ্রামই প্রকৃত সংগ্রাম।