করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধি মোতাবেক দেশব্যাপী আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর হতে ১০ মিনেটের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার পথে প্রায় ২০-৩০টি বাস ঢাকার পথে যাত্রা করতে দেখা গেছে। ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইলস মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে সন্ধ্যার পর থেকেই। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
সরেজমিন মহাসড়কের ঘারিন্দা, কান্দিলা, রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর ও এলেঙ্গা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ট্রাক ও মাছের গাড়িতে করোনার ঝুঁকি নিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। অপরদিকে বাস, প্রাইভেটককারসহ ব্যক্তিগত গাড়িতেও গাদাগাদি করে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।
মৃদুল নামে এক যুবক রাজশাহী যাবার জন্য ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন সকাল ১০ টায়। আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত এসেছে মটর সাইকেলে তারপর পিকআপ ভ্যানে চন্দ্রা পর্যন্ত এরপর মটর সাইকেলে এলেঙ্গা এসেছে ৫০০ টাকার বিনিময়ে। যখন রাত ৯ টা তখনও এলেঙ্গায় রাজশাহীর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন।
এদিকে, নুসরাত জাহান যাবেন বগুড়া। তিনি জানান, আমি টাঙ্গাইলে একটি কারখানায় কাজ করি সেখানে লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে চলে যাবো কিন্তু মহাসড়কে গাড়ি নেই। সবাই বলে রাতে গাড়ি পাওয়া যায় তাই এসেছি বাড়িতে যাবার জন্য পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করবো বাড়ি গিয়ে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও নির্দেশ অমান্য করায় দূরপাল্লার বাসকে মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর যমুনা সেতু টোল পার হয়ে যদি বাস আসে তাহলে আমাদের কী করার আছে? তবে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।