চলমান বিধি-নিষেধের ১৪ কার্যদিবসে সারাদেশের অধস্তন আদালতে ভার্চ্যুয়ালি জামিন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৯৪ হাজতি। সোমবার (৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম আট কার্যদিবসে ১৫ হাজার ২১৭ জন। পরে ছয় কার্যদিবসে নয় হাজার ৩৭৭ জন জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। একই সময়ে ভার্চ্যুয়াল শুনানি নিয়ে সারাদেশে অধস্তন আদালতে ৪৫ হাজার ২২৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
বিধি-নিষেধের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল (রোববার) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারি ব্যাপক বিস্তার রোধে গত ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
‘প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা- “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’’ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট /চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে। এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন।