বর্তমানে দেশে বিধবা নারীর সংখ্যা ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ জন। গত চার বছরে বিধবার হার বেড়েছে ০.৮ ভাগ। এর ফলে মোট নারী জনগোষ্ঠীর ৯ দশমিক ৫ ভাগ বিধবা। বুধবার (২৩ জুন) আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস উপলক্ষে বিবিএসের জরিপে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘে চালু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জরিপ, ২০১৯-এ বলছে, বয়সী নারীরাই বিধবা হচ্ছেন বেশি।
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের অনুসারে, দেশে নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৭ লাখ। বিবিএস-এর ‘দি রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০১৯’ শীর্ষক এই জরিপ বলছে, এই নারীদের ৬৩ দশমিক ৮ ভাগ বিবাহিত। অর্থাৎ দেশে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার নারী বিবাহিত। যাদের ৯ দশমিক ৫ ভাগ বিধবা। যার সংখ্যা ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ জন।
দেশে বিধবা নারী ২০-২৪ বছরের মধ্যে ০.৪ ভাগ, ২৫-২৯ বছর বয়সী ০.৭ ভাগ, ৩০-৩৪ বছর বয়সী ১ দশমিক ৩ ভাগ, ৩৫-৩৯ বছর বয়সী বিধবা ৩ দশমিক ১ ভাগ, ৪০-৪৪ বছর বয়সী বিধবা নারী হার ৬ ভাগ। ৪৫-৪৯ এর মধ্যে ১০ দশমিক ৪ ভাগ, ৫০-৫৫ বছরের মধ্যে ১৯.১ ভাগ, ৫৫-৫৯ বছর বয়সী ২৭ দশমিক ৮ ভাগ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী বিধবা নারী রয়েছেন ৪২ দশমিক ৪ ভাগ, ৬৫ বছরের তদুর্ধ্ব ৬৭ দশমিক ৫ ভাগ নারী বিধবা রয়েছেন।
তবে দাম্পত্য জীবনে নারী-পুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদও ঘটছে। ২০১৯ সালের জরিপেও তালাকপ্রাপ্ত বা বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া নারীর সংখ্যা মোট বিবাহিত নারীর ১ দশমিক ৩ ভাগ। জরিপ বলছে, ২০-২৪ বছর বয়সের নারীদের মধ্যে তালাকপ্রাপ্ত বা বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার সংখ্যা ১ দশমিক ৪ ভাগ। এটা ২৫-২৯ বয়সীদের ক্ষেত্র ১ দশমিক ৬ ভাগ, ৩০-৩৪ বয়সীদের ১ দশমিক ৬ ভাগ, ৩৫-৩৯ বয়সী ১ দশমিক ৮ ভাগ, ৪০-৪৪ বছর বয়সী ১ দশমিক ৯ ভাগ, ৪৫-৪৯ বয়সী ২ দশমিক ২ ভাগ, ৫০-৫৪ বছর বয়সী ২ দশমিক ৩ ভাগ, ৫৫-৫৯ বয়সী ২ দশমিক ০ ভাগ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ১ দশমিক ৭ ভাগ এবং ৬৫ তদুর্ধ্বো বয়সীদের মধ্যে ১ দশমিক ৬ ভাগ।
এ প্রেক্ষাপটে বুধবার বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। দেশে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন হয় না। কারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনো দেয়া হয়নি। ফলে দেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিংবা সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ক কোনো কর্মসূচি নেই।