বিশেষ পরিস্থিতিতে গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা সরকারের হাতে আনতে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন।
সংসদ অধিবেশন না থাকলে জরুরি কোনো প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। সেখাসে পাস হলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর হয়।
আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর ক্ষমতা ছিল। এই সংশোধনীর ফলে বিইআরসির পাশাপাশি বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে দাম সমন্বয় করতে পারবে।
এর আগে বিইআরসির পাশাপাশি বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারও সরাসরি দাম বাড়াতে পারার একটি বিধান রেখে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২২ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলে, ‘এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ একটি ছোট সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারই ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বেসরকারি খাতের জন্য ক্রুড অয়েল আমদানির বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেওয়া যায় কি না সে বিষয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে।’
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তিন দিন পর অধ্যাদেশ জারি করা হলো।