মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের বিষয়ে আগামীতে আমাদের সামনে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ একটি হচ্ছে সামনে সেচ মৌসুম আসছে৷ আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে রোজার মাস৷ এ তাপমাত্রা হয়ত এবার থাকবে না৷ এবার গরম আরও বাড়তে পারে৷ আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে কোনকিছুই আসলে প্রেডিক্ট করা যাচ্ছে না৷ এবার আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা খুব সম্ভবত সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটে চলে যাবে৷ এ কারণেই আমরা সময়মত গ্যাস, কয়লা যোগান দিতে চেষ্টা করছি৷ আমরা মনে করছি সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো সেই অবস্থান আমরা তৈরি করেছি৷
তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী বছরটাকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন রাখা৷ তবে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সাপ্লাই চেইনটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশেষ করে মিডল ইস্টে যেভাবে উত্তেজনা বেড়ে চলছে। সেটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এই চাহিদা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। সংকট সামাল দিতে সরকার আগে-ভাগে এলএনজি টার্মিনাল সংস্কার করতে পাঠিয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী তিন থেকে চারমাসের মধ্যে আমরা তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে যাব কি পরিমাণ তেল আমরা পেলাম৷ আমি মনে করি বছরের শুরুতে সবার জন্য একটা ভালো সু-খবর হবে৷ আমাদের প্রায়োরিটির তালিকায় বিপিসি থাকায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বন্দর সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে৷