ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় স্থবির। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইরিল রামাফোসা গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, নতুন বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা এসকম। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে এ বছর ০.৩ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ অবস্থায় কেপটাউনে বার্ষিক স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণে রামাফোসা বলেছেন, বিদ্যুৎ সংকট ও এর প্রভাব মোকাবিলায় আমরা জাতীয় দুর্যোগ পরিস্থিতি ঘোষণা করছি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ কয়লার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে দেশটিতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কম বিনিয়োগ ধারাবাহিক বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত চাপের কারণে কিছু নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রও ভেঙে পড়েছে।
এসকমের ঋণের বোঝা বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি র্যান্ডে (২ হাজার ২৬০ কোটি মার্কিন ডলার) পৌঁছেছে। গত বছর শ্রমিক ধর্মঘটের মুখেও পড়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার শাসনামলে দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির৷ সে কারণেই এখন এমন গভীর সংকট দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।