সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সামনের চেয়ারে বসা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাঙচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুজন সরদার বলেন, বিদ্যালয়ের ৫৪তম সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান চলাকালে একটি চেয়ারে স্থানীয় আব্দুল হালিম মণ্ডল বসতে চান। এসময় সেটি স্কুলের সভাপতির জন্য নির্ধারিত চেয়ার বলে তাকে জানিয়ে সেখানে বসতে নিষেধ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হালিমের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আনিস মণ্ডল ও তার চাচাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন হঠাৎ অনুষ্ঠানে এসে ৫০টির মতো চেয়ার ভাঙচুর করে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, আমন্ত্রিত অতিথিদের বসতে দেওয়ার পরও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা মণ্ডলসহ ১০ থেকে ১৫ জন হঠাৎ করে এসে চেয়ার ভাঙচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসিম খোকন বলেন, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে ওই নেতারা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সগুনা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আনিস মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া অন্য কিছু হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে, তবে তাকে সেই শাস্তি পেতেই হবে। সে ছাত্রলীগের নেতা হোক, আর যেই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হলে কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।