বিদেশে আওয়ামী লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট কথা বিএনপি বিশ্বাস করলেও আওয়ামী লীগ করে না।
রোববার (১১ সেপ্টম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আস্থাপূর্ণ হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপি দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নেতারা এই ব্যর্থতা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট কথা আপনারা বিশ্বাস করলেও আমরা করি না। ক্ষমতায় কে থাকবে সেটা নির্ভর করে দেশের জনগণের ওপর, জনগণই আমাদের আস্থার ঠিকানা এবং ক্ষমতার উৎস।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে, জনকল্যাণই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি। সে কারণেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। জনগণের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা শতভাগ। জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর খুশি নয়-বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কি তিনি (ফখরুল) শুনেছেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। একাত্তরের চেতনায় বিশ্বাসীদের সঙ্গে থাকবে ভারত।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক বিএনপিসহ যারা করেছিল তারা বাংলাদেশেরই বেশি ক্ষতি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটা অনুভব করেছিলেন যে ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে বেশি।
