সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এফবিসিসিআই এর মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এর এক বৈঠকে ব্যবসায়ীরা জানান, সারাদেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও ব্যবসার লাইসেন্স প্রাপ্তি, নিবন্ধন, অন্যান্য সনদ ও পরিষেবাসহ কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজ করার দিক থেকে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনে কম উৎসাহ দেখাচ্ছে।
বিদেশি বিনিয়োগ কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়াতে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বৈঠকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন মিশনে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সেলর এবং এফবিসিসিআই এর অন্তর্ভুক্ত জয়েন্ট চেম্বারগুলো কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিজনেস হাব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রচুর এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের পলিসি লেভেলে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এসময় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ীদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহ্বান করেন তিনি। প্রাপ্ত প্রস্তাবনা সমূহ বিশ্লেষণ করে তা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির স্বার্থে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে যৌক্তিক সুপারিশমালা উপস্থাপন করা গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি বিদেশি বিনিয়োগ বান্ধব হতে পারেনি। এখন সময় এসেছে দ্রুত করণীয় নির্ধারণ করে অগ্রসর হওয়ার।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রথমে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত ও সমাধানসহ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর জোর দেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ ইশহাকুল হোসেন সুইট, মো. আমির হোসেন নূরানী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।