বুধবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন ইসি মো. আলমগীর।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, তারা টোটাল নির্বাচন নিয়ে মতামত দিয়েছে। প্রার্থী, দল, সরকার, ভোটকেন্দ্র নানা বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা কেবল আমাদের দিকটা দেখব। তারা যে সুপারিশ করেছে সেটা করা যায় কিনা সেটা আমরা দেখব। যেগুলো আমাদের জন্য করা সম্ভব সেগুলো পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, তারা একটা (প্রতিবেদনের) জায়গায় বলেছে ভোটে কারচুপি হয়েছে বেশ কয়েকটা কেন্দ্রে, যেখানে কমিশন ব্যবস্থাও নিয়েছে। যদি বলত কমিশন অবহেলা করেছে, এমন তো বলেনি। তারা কমিশনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু বলেনি, যে কমিশনের এমন সক্ষমতা ছিল অথচ ব্যবস্থা নেয়নি। অথবা কমিশন এখানে ভোটের এই সমস্ত কেন্দ্রগুলোতে জাল ভোট হয়েছে কিন্তু কমিশন বন্ধ করেনি, এমন কোনো রিপোর্ট নাই। বরং কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে আছে। প্রশাসনে রদবদল করেছে এগুলোও আছে। এখন টোটাল গণতান্ত্রিক বিষয় তো আর নির্বাচন কমিশন দেখেনা। তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা বলেছে আমাদের দৃষ্টিতে দেখিনি যে খারাপ কিছু বলেছে। আমরা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে সেটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে বিএনপিসহ অন্য দলগুলো ভোট বর্জন করে। এতে নির্বাচনকালীন কিছু সহিংস ঘটনাও ঘটে। রেলে অগ্নি সংযোগে প্রাণহানি হয়। তবে ভোটের দিন তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। অনেক শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে ফের সরকার গঠন করে।