কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুজাতা আজিমকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) চলচ্চিত্র প্রিভিউ কমিটির সদস্য করা হয়েছে। বিটিভির মহাপরিচালককে সভাপতি ও বিটিভির ঊর্ধ্বতন চলচ্চিত্র সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবির ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব করে ১২ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে কমিটির জন্য নীতিমালা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এ কমিটি বিটিভিতে প্রদর্শনের জন্য চলচ্চিত্র যাচাই বাছাই করে উপযোগিতা সম্পর্কে সুপারিশ দেবেন। কমপক্ষে সাতজন সদস্য উপস্থিত থাকলে কমিটির কোরাম পূর্ণ হবে বলে মনে করা হবে এবং চলচ্চিত্র প্রিভিউ কার্যক্রম চালানো যাবে। এ কমিটিতে স্থান পাওয়া কোনো সদস্য বিটিভির জন্য বেসরকারি উদ্যোগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অনুষ্ঠান নির্মাণে অংশ নিতে পারবেন না।
১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রূপবান’ চলচ্চিত্রে মাত্র বারো বছর বয়সী নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে তন্দ্রা মজুমদার নামের এক কিশোরী দর্শকের মন জয় করে নেন। পরিচালক সালাহউদ্দিন এই তন্দ্রা মজুমদারের নাম রাখেন সুজাতা। আজও যিনি ‘রূপবান’ হয়েই আছেন দর্শকের হৃদয়ে। তবে চলচ্চিত্র তার অভিষেক ঘটে ১৯৬৩ সালে সালাউদ্দিন পরিচালিত ‘ধারাপাত’র মাধ্যমে।
১৯৭৮ সাল পর্যন্ত অসংখ্য হিট চলচ্চিত্রের নায়িকা সুজাতা। মাঝে এক যুগেরও বেশি সময় দূরে ছিলেন বড় পর্দা থেকে। তবে ফের প্রাণের টানে ফিরেও এসেছেন অভিনয়ে। নায়িকা হিসেবে সুজাতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘রূপবান’, ‘ডাক বাবু’, ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘অপরাজেয়’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘কাঞ্চনমালা’, ‘আলিবাবা’, ‘বেঈমান’, ‘অনেক প্রেম অনেক জ্বালা’, ‘প্রতিনিধি’ ইত্যাদি।
১৯৭৭ সালে সুজাতা নায়িকা হিসেবে সর্বশেষ রহিম নেওয়াজ পরিচালিত ‘রাতের কলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৮ সালে ‘অর্পণ’ সিনেমা পরিচালনা করে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সুজাতা। ছোট পর্দায়ও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।