বুধবার (১৩ মার্চ) স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন, প্রক্টর অফিস সহ পাঁচ ভবনে দিনে প্রশাসনিক ভবন, কলা অনুষদ, প্রক্টর অফিস সহ তালাবদ্ধ করে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, কলা অনুষদ ভবনের তালা ভেঙেছেন ফোকলোর বিভাগের প্রভাষক মো. রকিবুজ্জামান ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম মাসুদুল মান্নান। এরপর সেখানে শিক্ষার্থীরা গেলে ওই শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষকরা রোষানলে পড়েন। সেখান থেকে শিক্ষকদের উদ্ধার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।
প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভিসি অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর আবারো দাবী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার কথা বললে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মহাসড়কে অবস্থানের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস মহাসড়কের মাঝপথে রেখে প্রায় দেড়ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ রাখেন। এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন রাস্তায় শিক্ষার্থীদের সাথে বসে যান। কিছুক্ষণ পর প্রক্টরিয়াল বডি, ত্রিশাল উপজেলার ইউএনও উপস্থিত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, আগামীকাল (১৪ মার্চ)১১ টায় জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষক সাজন সাহা এবং রেজওয়ান আহমেদ শুভ্রকে বহিষ্কার করবেন। শিক্ষার্থীরা ভিসি’র কথায় আস্থা রেখে আন্দোলন স্থগিত করেন।
গত ৪ মার্চ শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে হেনস্তার বিষয়টি সামনে আসে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অংক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা ও প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া এবং থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।ছাত্রীদের শাড়ি পরে তার সঙ্গে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছবি চাওয়া, রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিওর লিংক শেয়ার করার মতো নানান অভিযোগ আসে শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাজন সাহার কাণ্ডে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন বিভাগীয় প্রধান শুভ্র।