সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সালমান এফ রহমানকে নিয়ে সমালোচনা করায় নড়াইলে মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নামে এক মাদরাসা শিক্ষক ও ইমামকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) ওই শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিলে এ তথ্য জানাজানি হয়।
এর আগে, রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর নুরানি মাদরাসায় ঘটনা ঘটে৷ এদিনই ওই মসজিদ-মাদরাসা ছাড়েন হেদায়েত হোসাইন।
ভুক্তভোগী মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন ওই মাদরাসার শিক্ষক এবং মাদরাসা সংলগ্ন উজিরপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমামতি করতেন। সেখান থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হেদায়েত হোসাইন ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ করেছিলেন। তখন থেকে মসজিদ কমিটির লোক তাকে চাপ দিতে থাকেন৷ এরপর তিনি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন মসজিদের মুসল্লিদের মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তারপর থেকে জুমার খুতবায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে সালমান এফ রহমান ও বিতর্কিত সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়ে সমালোচনা করেন। এরপর তাকে মাদরাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামতির পদ থেকে বরখাস্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী বলেন, ওই শিক্ষকের পড়ানো নিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অসন্তোষ ছিল। এ জন্য কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।