ল্যাটিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বলিভিয়ার পুলিশ সান্তা ক্রুজের গভর্নর ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লুইস ফার্নান্দো কামাচোকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তাকে গ্রেফতারের খবর জানার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তার সমর্থক ও কর্মীরা।
কেন এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি বলিভিয়ার সরকার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানকার বাণিজ্যিক কার্যক্রম, বন্ধ পণ্য সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট। ধারণা করা হচ্ছে, রাজ্যটিতে চলমান বিক্ষোভ উসকে দেন কামাচো। সেকারণে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বলিভিয়ার রাষ্ট্রীয় অ্যাটর্নির কার্যালয় বুধবার, ৪৩ বছর বয়সী কামাচোকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে। সান্তা ক্রুজের এই গভর্নর ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে হেরে যান।
নাগরিকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন শুমারির তথ্য জানাচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সান্তা ক্রুজে জনসংখ্যা বাড়লেও সে অনুসারে বাজেট বরাদ্দ হয় না। সেকারণে তারা বিক্ষোভে নেমেছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কামাচোকে লা পাজে নেওয়ার জন্য স্থানীয় বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্লোস মেসা তাকে গ্রেফতারের ঘটনাকে অপহরণ বলে দাবি করেছেন।
সান্তা ক্রুজ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গভর্নরকে অপহরণ করা হয় তার বাড়ির পাশ থেকে, যখন তিনি তার দায়িত্ব থেকে ফিরছিলেন। এই মুহুর্তে, গভর্নরের অবস্থান অজানা বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।’
বলিভিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস এদুয়ার্দো দেল কাস্তিলো টুইটারে বলেছেন, পুলিশ কামাচোকে আটক করেছে। তবে আর বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
কামাচোকে গ্রেফতারের পর প্রতিবাদকারীরা সান্তা ক্রুজের দুটি বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। ভিডিওতে দেখা গেছে, কামাচোকে নিয়ে উড্ডয়ন করেছে এমন একটি বিমান আটকে দেয় তারা। তবে কামাচোকে লা পাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। যদিও বিরোধী সিনেটর এরিক একটি ভিডিওতে অভিযোগ করে বলেছেন, কামাচোকে হেলিকপ্টারে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।