খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেলে বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেফতার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি মিছিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘাত শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। দিঘলিয়া সেনাটি ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির একটি কর্মীসভা ছিল। তারা খুলনা প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম করছিলেন। কিন্তু তাদের স্থানীয় নেতারা আসার পর বেশ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরা পেছনে সরে গেলেও কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে আমরা টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হই। এছাড়া আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করে বলেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশে পণ্ড করতে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে। পরে নামসহ বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।