তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেতারা সবাই তোতাপাখির মতো কথা বলেন। ১৪ বছর ধরে একই ঢোল বাজাচ্ছেন তারা, কোনো নতুনত্ব নেই। আসলে এ ১৪ বছরে তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাম্প্রতিক নানা মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর পাল্টা কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না, তবে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্পটে পাহারায় থাকবে। আপনারা দেখেছেন অতীতে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি গত ১০ ডিসেম্বর কর্মসূচি সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব তৈরির চেষ্টা করেছে যদিও পুরোপুরি সফল হয়নি। এরপরও গাড়িতে আগুন দিয়েছে, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ অন্য জায়গায়ও একই ধরনের বিশৃঙ্খলা-তাণ্ডব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা। যাতে দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতি কেউ বিনষ্ট করতে না পারে। সে জন্য আমাদের দল সারা শহরজুড়ে এবং আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে সতর্ক পাহারায় থাকবে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কম ভোট পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, সেখানে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, খুবই সুন্দর নির্বাচন হয়েছে এবং সব প্রার্থীই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কাউন্সিল পদে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সমর্থক নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু মেয়র পদে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছেন। সুতরাং সেখানে দুর্বলতা কোন জায়গায় কিংবা হিসাব কোন জায়গায় সেটা সহজেই অনুমেয়।
এর আগে বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজসহ অন্য নেতারা হাছান মাহমুদকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় তারা সমিতির জন্য বিএফডিসিতে কক্ষ বরাদ্দ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালযের অধীন বিভিন্ন কমিটি ও বিদেশ সফরে বাচসাস প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, মন্ত্রীর সঙ্গে তিন মাসে অন্তত একবার সাক্ষাতের দাবি সম্বলিত একটি পত্র মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন। মন্ত্রী বাচসাসের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশের শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও দাবি-দাওয়াগুলো সযত্নে বিবেচনায় নেবেন বলে জানান।
বাচসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি অঞ্জন রহমান ও রাশেদ রাইন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, আন্তর্জাতিক ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রেজাউর রহমান রিজভী, সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানী বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরায়রা মুরাদ, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর, নির্বাহী সদস্য লিটন এরশাদ, মাঈনুল হক ভূঁইয়া, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আমিনুর ইসলাম লিটন, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত, লিটন রহমান, শফিউল্লাহ সুমন ও রাফি হোসেন মতবিনিময়ে অংশ নেন।