মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
যারা আন্দোলনের নামে সহিংসতা করে তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন করার জন্যই বিএনপি নেতাদের আটক রাখা হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদেরকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা, সাংবাদিকদের মারধর করা, জাজেজ চেম্বারে হামলা করা, পুলিশের হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা; এসব অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা বলেছিল পালিয়ে যাবে না, পালিয়ে গেল কেন? পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে। সেদিন কিছু অপরাধ তারা করছে সেজন্য তাদের পালাতে হয়েছে। পালানো অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়, আদালত যখন জামিন দিয়েছেন, তখন তারা কারামুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না সরকার। তবে আন্দোলনে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে বাধা আসবে। বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয় তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে, বিএনপি জিতেছে – বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যবস্থা হচ্ছে, নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার আমরা হব।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।