দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কোনো সংলাপের সুযোগ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপিকে বারবার অনুরোধ করা হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দলটি অনড়-এমন মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘বিএনপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি আমাদের সে অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড়। এক্ষেত্রে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে এমনটা জানালেও ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ‘সঙ্গতি’ নির্বাচন কমিশনের আপাতত নেই বলে মন্তব্য করেন সিইসি।
এসময় তিনি ইসির হাতে থাকা ইভিএম মেশিন ও নতুন করে ইভিএম কেনার প্রস্তাবের বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তবে আগে বেশি আসনে ভোট করার সক্ষমতার কথা শোনা গেলেও ইসির কাছে থাকা ইভিএম দিয়ে মাত্র ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ভোট করা সম্ভব বলে জানান সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের। আরও ইভিএম মেশিন কেনার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। তবে সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিষয়টিও নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করছে। ওই বরাদ্দ প্রাপ্তিসাপেক্ষে নতুন মেশিন কিনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।’
রক্ষিত ইভিএম নষ্ট হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিইসি বলেন, ‘সঠিক রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে কিছু ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়েছে। এরমধ্যে কিছু কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য আর কিছু একবারেই বিনষ্ট। এ মেশিনগুলো জাতীয় সম্পদ। এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। ওই প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ইভিএম মেশিনগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এতে দেশের অর্থ সাশ্রয় হবে।’
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।