নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। বিষয়টি তারা ব্যাপকভাবে প্রচারও করছে। এ প্রসঙ্গে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অ্যাপ্রোপিয়েট এভিডেন্স নিয়ে আসুক, যদি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে আমরা মামলা করব। এই ধরনের বাজে অভিযোগ কী করে তারা আনতে পারে?
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে ১০ ডিসেম্বর কী হয়েছিল। রেজাল্ট অসহনীয়, ডিসেম্বর মিশন তাদের ফেল। এখন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বেপরোয়া হয়ে তারা এখন আবোলতাবোল বকছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির অফিসে কেন যাবে? প্রয়োজয়নটা কী? গায়ে পড়ে ঝগড়া বাঁধাতে চায়। তথ্য প্রমাণ নিয়ে আসুক।
এসময় আওয়ামী লীগের কমিটির আকার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি। সেখানে সবচেয়ে বড় পার্টি বিজেপি ও কংগ্রেস। কারোরই এক্সিকিউটিভ কমিটি ৪০ এর ওপরে নয়। বিজেপি ৩১। এক্সিকিউটিভ কমিটির একটা ভাবগাম্ভীর্য থাকে। বিএনপির মতো জাম্বুজেড বানালে হবে না।
আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য বিএনপির গণমিছিলের তারিখ পেছানো প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের সুবোধ উদয়ের জন্য ধন্যবাদ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল অব. মোহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আর মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।