১০ ডিসেম্বর কিছু করতে না পেরে লজ্জায় জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি একটা নাটক করল। সেদিন বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগ করে মিডিয়াতে একটা বড় খবর নিয়ে আসলেন। কেন পদত্যাগ করেছেন এ বিষয়ে আমাদের অনেকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আসলে তারা পদত্যাগ করেছেন কারণ হলো, তারা এতদিন নেতাকর্মীদের একটা আশা দিয়েছিলেন কিছু একটা হবে। কিছুই যখন হলো না তখন তারা লজ্জায় পদত্যাগ করেন।
হানিফ বলেন, আমরা বলেছি এই বিএনপির সাতজন সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদের কিছুই হবে না। আসনগুলো শূন্য হওয়ায় সেখানে উপ-নির্বাচন হয়ে পূর্ণ হয়ে যাবে। আর বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা মাঠেই থাকবে। এই বিএনপির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। কার ওপর আস্থা রাখবে? বিএনপির নেতা এখন কে? একজন খালেদা জিয়া বয়োবৃদ্ধ অসুস্থ এবং দুর্নীতি মামলার দণ্ডিত আসামি। এছাড়া আরেকজন তারেক রহমান হামলা ও হত্যাসহ নানা মামলার আসামি হয়ে বিদেশ পলাতক।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, তারেক রহমান কোনো সময় রাজনীতি করেননি। তার মা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন হাওয়া ভবনে বসে দুর্নীতি করেছেন। এসবের যাতে কোনো প্রতিবাদ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের ওপর গ্রেনেড হামলা করেছিল।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, অনেকে মনে করেছিল ১০ তারিখ ভয়ংকর কিছু একটা হবে। আকাশ ভেঙে পড়বে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। উল্টো বিএনপিই ভেঙে পড়েছে। তারা নেতাকর্মীদের আশ্বাস দিয়েছিল খালেদা জিয়া সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। ওই দিন থেকে তার নির্দেশে দেশ চলবে। জনগণের পাশাপাশি বিএনপি এখন নেতাকর্মীদের সঙ্গেও মিথ্যাচার করছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।