দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আশা না দেখে বিএনপি বাহানা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে তাদের (বিএনপি) কোনো আশা নেই। সেজন্য বাহানা শুরু করেছে। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা বলে যেমন বিএনপির অবস্থাও তাই।’
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আগামীকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ২০০৮ সালে ২৯টি আসন জয়ী ও পরে দুটি আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছে। ২০১৮ সালে বিএনপি একা নয় সবাইকে নিয়ে অংশ নিয়ে তারা মাত্র ছয়টি আসন পেয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো আশা নেই, সেজন্য সমস্ত বাহানা শুরু করেছে। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা বলে না, বিএনপির অবস্থাও তাই।
আওয়ামী লীগ খেলে নির্বাচনে জিততে চায় মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই আগামীর নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবে। আমরা চাই সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। আমরা খেলে জিততে চাই। যেমন আমরা জিতেছি ২০০৮ সালে, যেমন আমরা জিতেছি ২০১৮ সালে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকারের একটা ওসি ট্রান্সফার করা কিংবা একটা দারোগা ট্রান্সফার করারও ক্ষমতা থাকে না। এই ধরণের কার্যক্রম সবটাই নির্বাচন কমিশনের হাতে হস্তান্তর হয়। সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই, শুধুমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। বিএনপি তো পাকিস্তানকেই অনুসরণ করে। চীন, ইন্ডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউকে, জাপানে যেভাবে ভোট হয় আমাদের দেশেও সেভাবেই ভোট হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।