বিএনপিতে যত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা আছেন আওয়ামী লীগে তত মুক্তিযোদ্ধা নেই বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া পথিকৃৎ।(
৩১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর আমাদের বলতে হচ্ছে, বর্তমান অবস্থার এ দেশ আমরা চাইনি। বর্তমান সরকারের নির্যাতন একাত্তরের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। দেশে বর্তমানে গুম-খুন-নির্যাতন আর ধরপাকড় চলছে, যা পাকিস্তান আমলেও হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশের আত্মাকে রক্ষা করতে পেরেছিলাম। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর সেই আত্মাকে আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে একজন প্রধানমন্ত্রী এমন কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কথা বলতে পারেন তা আমাদের জানা নেই। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় সমস্যা কী তাদের না আমাদের। দেশ সব মানুষ এখন আসামি। যারাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলছে তারাই এখন আসামি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গুম নিয়ে সরকার অস্বীকার করছে। সরকার ও তার মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করছেন। জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশের মন্ত্রীরা যা বলেছেন তা সত্য নয়। বাংলাদেশে গুমের ঘটনা সত্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। এছাড়া শান্তি রক্ষা মিশনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্ত থাকলে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।
তিনি বলেন, আইজিপির ভিসার শর্ত বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। জাতিসংঘ যাওয়ার জন্য ব্ল্যাকমেইল করে ভিসা নেওয়া হয়েছে। আইজিপিকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাই বলা যায়, দেশের গুম-খুনের বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। সরকারকে বলবো, আপনারা অস্বীকার না করে গুম হওয়া মানুষ গুলোকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সেদিন সৈনিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন- তোমরা মেজর জিয়ার নির্দেশ ছাড়া অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তারপর তিনি ঢাকায় ফিরে এসে আটক হন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজুল উলফাত। এতে আরও বক্তব্য দেন- অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, সাদেক আহমদ খান প্রমুখ।