মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জোহরের নামাজের পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জোহরের নামাজের পর মসজিদের ইমামকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য দোয়া করার অনুরোধ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু ইমাম রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এতে এক পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশের ধাওয়ার পর জামায়াতের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে ঢুকে যায়। সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত রোববার বিকেলে বুকে ব্যথা নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন তিনি।
সাঈদীর মৃত্যুর খবর শোনার পর গতকাল রাতে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও ভক্তরা হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা ঢাকায় জানাজা করতে চাইলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বারণ করা হয়। অনড় অবস্থানে থাকা জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাতভর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে।
ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে কড়া পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে জানাজা শেষে তাকে বড় ছেলে রফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে দাফন করা হবে