গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল গফুর সরদার (৩৮), আলমগীর মোল্লা (২৮), তৈয়বুর রহমান (২৫), নয়ন আকুঞ্জি (২২), রাজন কুন্ডু (৩০), মাসুম বিশ্বাস (৩২), আশরাফুল কবির (২৮), জাহিদুর (৩৪)।
জানা যায়, সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে নবীনগরের লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নে প্রবাসীর বাড়িতে অতর্কিতে হায়েস গাড়িযোগে এসে উপস্থিত হয় ১০–১২ জনের একটি সশস্ত্র দল। নিজেদের ‘ডিজিএফআই’র সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রথমে বাড়ির প্রধান গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করে তারা। ব্যর্থ হয়ে একজন দেয়াল টপকে ঢুকে গেট খুলে দিলে পুরো দলটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং শুরু করে তল্লাশি।
সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাটি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। তল্লাশির একপর্যায়ে তারা রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার সময় প্রবাসী শহিদুল ইসলাম থানার ওসিকে ফোন করে মাইকিং করার অনুরোধ জানান, যাতে এলাকার মানুষ সতর্ক হয়। কিন্তু ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। পুলিশ কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও অপহরণকারীদের ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি বারবার সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। পুলিশ চোখের সামনেই ছেলেকে নিয়ে গেলো, কোনো বাধা দিল না।”
রাত ৩টার দিকে অপহরণকারীরা শহিদুল ইসলামের ফোনে প্রথমবার যোগাযোগ করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে কল দিয়ে দাবি বাড়িয়ে তিন কোটি টাকা দাবি করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক জানিয়েছেন, অপহৃত রিফাতকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় মূলহোতা সশস্ত্র বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত এলসি রেজাউল করিমসহ আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।