বাড়িভাড়া ও মুদি দোকানের বকেয়া টাকা দিতে না পারায় নিজের সন্তানকে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের শিল্পী বেগম। এ বিষয়টি নজরে আসার পর শিল্পী বেগমকে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন। এ ছাড়া নবজাতক সন্তানকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নের বাতেন মোড় এলাকায় শিল্পী বেগমের হাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চাবি তুলে দেন ইউএনও বেলায়েত হোসেন। ঘর পেয়ে মহাখুশি তিনি।
জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শিল্পী বেগমের সংসারে আরও ২ ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। তবে চতুর্থ সন্তান পেটে আসার পরেই হঠাৎ বাড়ি ছেড়ে চলে যান পিতা রায়হান। এরপর থেকেই অভাবের সংসার নিয়ে বিপাকে পরেন শিল্পী বেগম। সন্তান গর্ভে থাকার সময় থেকে বাড়ি ভাড়া ও পাশের দোকান মিলে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ টাকা বাকি হয় শিল্পীর। অভাবের বিষয় জানতে পেরে গর্ভের সন্তান বিক্রির পরামর্শ দেয় দালাল চক্র। পরে নিরুপায় হয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই নবজাতক শিশু বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নবজাতক শিশুটিকে ৩০ হাজার টাকায় কিনে নেন জসিম। তিনি বলেন, আমার বিয়ের বয়স ১৫ বছর। এখনও কোনো সন্তান নেই। ডাক্তার বলেছে আমার কোনো সন্তান হবে না। তাই এই নবজাতককে কিনেছি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, কোনো নবজাতক শিশু কেনাবেচার কোনো সুযোগ নেই। এটা অপরাধ, এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।