ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া নিম্নচাপটি। এটি বর্তমানে গভীর নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে ভারতের দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বর্তমানে এটি রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপের কারণে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, আজ সন্ধ্যায় বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমেছে। আজ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার ছিল। যা গতকাল ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ছিল। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৪৮ মিলিমিটার।