ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দিনাজপুরের হিলি বন্দরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। ডলারের কারণে দাম ওঠানামা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে হিলির পেঁয়াজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচ দিন আগে পাইকারি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২ টাকা কেজি দরে, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে। খুচরা ব্যবসায়ীরা তা ৩০-৩২ টাকা দরে বিক্রি করছেন। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
ছেলেমেয়েসহ ভ্যানচালক রফিক উদ্দিনের সংসারে ছয়জন সদস্য। দুই ছেলের স্কুলের খরচ মিটিয়ে প্রতিদিন তার সংসারে ব্যয় হয় ৪০০-৫০০ টাকা। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রফিক উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আয় তো বাড়ে নাই। অথচ সবজিসহ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। তেল নিলে চাল হয় না আবার সবজি নিলে মাছ হয় না। ৪০০ টাকার বাজার করলে তলাত (তলায়) পড়ে থাকে। এই ভাবে চলছে হামার (আমার) জীবন।’
তিনি বলেন, ‘বাপুরে, হারা (আমরা) ডলার-ফলার বুঝি না। দাম বাড়লে মাথা ঠিক থাকে না। পাঁচ দিন আগে ২২ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজ সেই পেঁয়াজ দেখছি ২৮ টাকা কেজি। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাঁচবে কী করে?’
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। ২২ টাকার পেঁয়াজ আজ বিক্রি করছি ২৮ টাকা কেজি দরে। ডলারের দাম ওঠানামা করায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’
পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী মো. শাকিল বলেন, ‘সবজির দাম আমরা বাড়াই না। তবে বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করাটাই স্বাভাবিক। তারপরও সব দোষ আমাদের হয়। আমরা আড়তে ২৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে দুই টাকা লাভে ৩০ টাকায় বিক্রি করছি।’