১৬ বছর ধরে এক ছাদের নিচে আছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। এ দম্পতির একমাত্র কন্যসন্তান আরাধ্যও এখন বেশ বড়। এতদিন পর জানা গেল, বাবার অনুপস্থিতিতে অভিষেকের সঙ্গে বাগদানে বাধ্য হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
২০০৭ সালে বাগ্দান হয় অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার। নিউইয়র্কের এক বাড়ির ব্যালকনিতে অভিষেক মনের কথা জানিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াকে। সঙ্গে সঙ্গেই ‘হ্যাঁ’ বলে দেন অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে ঐশ্বর্যা বলেছিলেন, ‘ও (অভিষেক) আমাকে প্রেম নিবেদন করেছিল। গোটা ব্যাপারটা সত্যিই হঠাৎ করে হয়ে গিয়েছিল। জানতামই না যে, ‘রোকা’ বলে একটা অনুষ্ঠান আছে, আমরা তো দক্ষিণ ভারতীয়! হঠাৎ করে ওদের বাড়ি থেকে ফোন। দুই পরিবারে কথা হল, শুনলাম বচ্চনরা দেখতে আসছেন। আমার বাবা তখন শহরে ছিল না।’
ঐশ্বর্যা আরও বলেন, ‘অভিষেক বলেছিল বাবাকে (অমিতাভ বচ্চন) আর অপেক্ষা করিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সে দিন সন্ধ্যায় ওরা সবাই এলো।’
অবশেষে ঐশ্বরিয়ার বাবাকে জানিয়ে তার অনুপস্থিতিতেই ‘রোকা’ বা আংটিবদল সারা হয়ে যায়। কন্যার বাগ্দান অনুষ্ঠানে শহরের বাইরেই থেকে যান বাবা।