‘বাপ-ছেলে ক্ষুধা নিয়ে গেল আল্লাহ কাছে।’—স্বামী-সন্তান হারিয়ে বুক চাপড়িয়ে তাওহিদা খাতুন আহাজারি করেন এভাবে। ৭ বছরের ছেলে তাওশিদের মরদেহের পাশে বসে আহাজারি করছেন তিনি।
তাওহিদা খাতুন বলেন, আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে পরোটা খাওয়ার জন্য বায়না ধরে। ওর বাবা প্রতিদিনের মতো আজকে সকালে ছেলেকে কোলে করে হোটেলে পরোটা খেতে যাচ্ছিল। এর মধ্যে শুনলাম যে রাস্তায় নাকি এক্সিডেন্ট হয়েছে। আমিও বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে দেখি আমার ছেলের মাথা দিয়ে অনর্গল রক্ত পড়ছে। ওর বাবাও রক্তে লাল হয়ে গেছে। দুজনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার বুকের ধন কেড়ে নিল গাড়িতে। আল্লাহ তাদের বিচার করবে ঠিক একদিন।
উল্লেখ্য, যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় সাতক্ষীরাগামী কাভার্ডভ্যানের চাপায় বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যশোর-মণিরামপুর সড়কের বেগারীতলায় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।