বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়াও একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের সময় কেএনএফের পুঁতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে স্থানীয় দুজন আহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৬ জুন) সকালে বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি প্রাংশা ইউনিয়নের তাজিংডং পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কেএনএফের পোশাক পরিহিত গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত পরিচয় একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী ওই এলাকা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মরদেহটির পরিচয়, আটককৃত কেএনএফ সদস্য ও আহত স্থানীয়দের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, প্রাংশা ইউনিয়নের তাজিংডং পাহাড়ে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে যৌথবাহিনী। সকালে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। গোলাগুলি থেমে গেলে তাজিংডং পাহাড়ের জঙ্গলে গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানচি থানা পুলিশ।
থানচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহের পরিচয় এখনো পাইনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালান। অস্ত্র, গুলি ও টাকা লুট করেন। অপহরণ করেন সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে। এ ঘটনার পর র্যাাবের অভিযানে উদ্ধার হয় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলায় ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযানে কেএনএফের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন।