খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট নবায়নের ওই আবেদন করা হয়েছিল। গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসক টিমের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও তিনি উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে পাঠানোর দাবিতে পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা চালাচ্ছেন ও তার দল বিএনপির পক্ষ থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যকে জানিয়েছে, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তার পাসপোর্ট পাওয়ার সুযোগ নেই।
তার মুক্তির দু’টি শর্তের মধ্যে একটি হলো তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
গত ৬ মে খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নবায়নের আবেদন করা হয়। এখন দেওয়া হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। তাই নবায়ন করতে হলে খালেদা জিয়াকেও ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। এমআরপি পাসপোর্ট হলে নতুন করে ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ না নিয়েই নবায়নের সুযোগ ছিল। ই-পাসপোর্টের বেলায় নতুন করে ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের ছবি নিতে হয়।
পাসপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ওই সময় আমাদের বলা হয়েছিল, ম্যাডামের পাসপোর্ট হয়ে গেছে। এসে নিয়ে যান। যাওয়ার পর বলে, একটু সমস্যা আছে। পরে নিতে হবে। এরপর আর কোনো তথ্য আমাদের জানানো হয়নি। ’
তবে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, সারা দেশেই এখন ই-পাসপোর্ট করা হচ্ছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে ১৩ নভেম্বর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। রাতেই তাকে হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। এখনও তিনি সেখানে আছেন।