শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার বিভিন্ন স্টল ও ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ কেন্দ্র ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
মেলায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। তিনি বলেন, ভোক্তারা অভিযোগ করলেই আমাদের টিম রেসপন্স (পদক্ষেপ) করছে। অনেক সময় টিম এভেইলেবল না থাকলে আমরা পরবর্তী শিডিউলে অভিযোগগুলো আমলে নিচ্ছি। গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দুজন ভোক্তা একটা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমরা সে প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
তিনি বলেন, ভোক্তারা সচেতন হয়ে অভিযোগ করলেই প্রতিকার পাবেন। অতিরিক্ত দাম নিলে অবশ্যই ক্যাশ মেমো সঙ্গে নেবেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ক্যাফে ফোর স্টার এন্ড রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মিরপুর-১ এর বাসিন্দা মির্জা ওয়াহিদ হোসেন এবং সাভারের তোশিরুল রেজা। তারা দুজনই এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এ প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি, নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য বিক্রি, ক্রেতা হয়রানি, অনুমতি ও আমদানিকারক এর তথ্য না থাকা বিদেশি পণ্য বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় :
জাফর ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, শাহিন ভাইয়ের রাঁধুনি কাশ্মীরি আচার, সাইমিন ক্রোকারিজ, লিজা ফুড এন্ড পঞ্চরসের আচার ঘর, এবিএনআইএনসি, আয়াত চায়া বিসমিল্লাহ ফুড প্রোডাক্টস, নিখাই কিচেন, শাবিকস ফ্যাশান ও হাজী বিরিয়ানি এন্ড কাবাব ঘর নামের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ করতে দিতে হবে যেসব তথ্য :
অভিযোগের পূর্ণ বিবরণ, অভিযোগকারীর নাম, পিতা ও মাতার নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, পেশা ও মোবাইল নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র ও ইমেইল এড্রেস (যদি থাকে)। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা। প্রমাণস্বরুপ ক্রয়ের ভাউচার বা রশিদ অবশ্যই দিতে হবে।